চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার ফলপ্রকাশ, একশো শতাংশ নম্বর হাওড়ার পড়ুয়ার ৮০০ জন পরীক্ষার্থীকে রাজ্য বৃত্তি হিসাবে বার্ষিক ১২০০ টাকা ও জেলা বৃত্তি হিসাবে বার্ষিক ৬০০ টাকা দেবে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ।

Bengali Darpan
0

 


চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার ফলপ্রকাশ, একশো শতাংশ নম্বর হাওড়ার পড়ুয়ার ৮০০ জন পরীক্ষার্থীকে রাজ্য বৃত্তি হিসাবে বার্ষিক ১২০০ টাকা জেলা বৃত্তি হিসাবে বার্ষিক ৬০০ টাকা দেবে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ


                                                   রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরে প্রাথমিকে পাশ-ফেল না থাকায় পড়ুয়াদের যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন ঘিরে বার বার বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্যজুড়ে বেসরকারি সংস্থার বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে উদ্বেগ কিন্তু বাড়ল পরীক্ষা যদিও সীমাবদ্ধ ছিল চতুর্থ শ্রেণিতে পাঠরতদের মধ্যে গোটা রাজ্যে এই শ্রেণিতে পাঠরত শিক্ষার্থীর সংখ্যার সাপেক্ষে পরীক্ষার্থীও ছিল মেরেকেটে ২০ শতাংশ তাদের মধ্যে সার্বিক ভাবে ৬০ শতাংশ মার্কস পেয়েছে একশো জনে জনা আঠেরো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং ইতিহাস-ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয় প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি মার্কস পায় ১০০ জনে যথাক্রমে ৫০ ৪০ জন পরীক্ষার্থী, সেখানে প্রাথমিকে এই হাল কেন?

প্রাক্তন স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী পার্থ দে- পর্যবেক্ষণ, 'এক কথায় সিদ্ধান্তে পৌঁছনো মুশকিল তবে প্রাথমিক শিক্ষা অবহেলিত হচ্ছে সে জন্য কোনও এক পক্ষকে দায়ী করতে চাই না তবে ২০১১- পর পাঠ্যবই পাঠ্যসূচিতে আমূল বদল এসেছে সেটা খুদে পড়ুয়াদের কতটা কাজে লেগেছে, যাঁরা পড়াচ্ছেন, তাঁরাই বা কী ভাবে বিষয়টা নিয়েছেন--সে-সব নিয়েও কোনও রিভিউ হয়নি এই পরিসংখ্যান অবশ্য সত্যিই চিন্তার' শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের বক্তব্য, 'যাঁরা পরীক্ষা নিচ্ছেন তাঁরা হয়তো স্কুল, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের থেকে পরীক্ষা গ্রহণে কড়াকড়ি করে থাকতে পারেন পুরোনো দিনে যে ভাবে খাতা দেখা হত, প্রতিটি প্রশ্ন খুঁটিয়ে মার্কস দেওয়া হত--তেমন নীতি অনুসরণ করে থাকতে পারেন অন্য দিকে পর্ষদ বা সংসদ আগের থেকে মূল্যায়নে অনেক বেশি উদার হয়েছে আর বেসরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে ভাবমূর্তিরও তো দায় নেই'

পরীক্ষা গ্রহণকারী পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক তরুণ নস্করের দাবি, 'ছাত্রছাত্রীরা কতটা শিখল বা শিখল না, পর্ষদ সংসদের তা দেখারই দায় নেই কিন্তু জাতীয় বোর্ডগুলির সঙ্গে মার্কসের প্রতিযোগিতায় নেমে তারাও মার্কস দেওয়ায় উঠে পড়ে লেগেছে অন্য দিকে আমরা দেখি, পড়ুয়ারা শিখছে কি না তবে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা-ভীতি যে নেই, তা স্পষ্ট'

এই বেসরকারি সংস্থার চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় বার বসেছিল .২১ লক্ষ পড়ুয়া সামগ্রিক পাশের হার ৭৮.৭৯ শতাংশ যার মধ্যে দ্বিতীয় বিভাগে ৩০.০৫% এবং সাধারণ বিভাগে ৩০.৭৫% উত্তীর্ণ হয়েছে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সল্টলেকের এভি স্কুলের সবর্ণ চট্টোপাধ্যায় মোট ৪০০ মার্কসের পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত মান ৩৯৩ আর বিষয় অনুযায়ী পাশের হার বিজ্ঞানে ৯৬.২৫%, মাতৃভাষায় ৯২.৩৮%, গণিতে ৮৫.০৬%, ইতিহাস-ভূগোলে ৮৮.০৯%, ইংরেজিতে ৯১.৩২% বার রাজ্য পর্যায়ে ১০০ জন জেলা পর্যায়ে ৮০০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হবে যথাক্রমে ১২০০ ৬০০ টাকা করে মঙ্গলবার ফলপ্রকাশ করেন পর্ষদের সম্পাদক রতন লস্কর

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

Please Select Embedded Mode To show the Comment System.*